মেহেন্দিগঞ্জ উলজেলার ৩ নং চর এককরিয়া ইউনিয়নের চরলতা গ্রামের মোঃ আক্কাছ আলীর মেয়ে সীমা (১৪) কে বিগত ৬ মাস পূর্বে জুয়েল শাহ, পিতা: তোফাজ্জেল হোসেন হিরু শাহ ৫ নং সদর ইউনিয়নের রুকুন্দি গ্রামের সাঝি বাড়িতে কাজের বুয়া হিসেবে নিয়গ প্রদান করেন। কাজে যোগদানের কয়েকদিন পরেই জুয়েল শাহ সীমা (১৪) কে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক শারিরীক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন।
এরই ফলশ্রুতিতে সীমার গর্ভে সন্তান চলে আসে। কিন্তু সীমা কিশোরী থাকার কারনে বুঝতে পারে নাই সে গর্ভবতি হয়ে গেছে। গর্ভাস্থায় বেশ কয়েকবার জুয়েল শাহ সীমার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করেন। গর্ভে সন্তান আসার পর নানা রকম শারিরীক পরিবর্তন দেখে জুয়েল শাহ’র স্ত্রী মোসাঃ লীয়া’র কাছে ঘটনা খুলে বলেন সীমা। তখন জুয়েল শাহ’র স্ত্রী লীয়া সীমা কে বলেন, তোর কিচ্ছু হয় নি, এসব এমনি, তোর গায়ে কুবাতাস লাগছে। এভাবে চলতে থাকে ৩ মাস, যখন ধীরে ধীরে সীমা বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে, তখন জুয়েল শাহ বিষয়টি বুঝতে পেরে, সীমাকে সরাসরি বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গাইনী ওয়ার্ডে নিয়ে যান।
সেখানে নিয়ে এক নার্স ও আয়াকে দিয়ে ৬ মাসের মেয়ে বাচ্চা প্রসব করান। যখন মেয়ে বাচ্চা পৃথিবীর আলো বাতাস দেখলো এবং কান্না করে উঠলো, তখন জুয়েল শাহ ও তার স্ত্রী লীয়া পাষন্ডের মত নবজাতক মেয়েকে মা’য়ের সামনে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন। এরই মধ্যে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে জুয়েল শাহ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এলাকার আমজনতার মাঝে আলোচনা ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এভাবে একটি নবজাতককে জন্মের সাথে সাথে হত্যা ও একটি শিশু মেয়েকে ধর্ষন করে জুয়েল শাহ কোন ক্ষ্যান্ত হোননি, তিনি এলাকায় এখনো দাপটের সহিত অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং সিমার পরিবারের সদস্যদের নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা করা থেকে বিরত রেখেছেন। অবশেষে সীমার বাবা আক্কাস আলী মেহেন্দিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন, মামলা নাম্বার ১০।
Leave a Reply